টিভির সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা শুধু সময় নষ্টই নয়, এটি আপনার হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ধমনিসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে! 😮 সম্প্রতি Journal of the American Heart Association–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি টিভি দেখা মানে হচ্ছে নিজের অজান্তেই প্লাক জমা, রক্ত চলাচলে বাধা এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ানো। 😓 🧬 ডায়াবেটিস ঝুঁকির সঙ্গেও রয়েছে সম্পর্ক! গবেষণাটি প্রথমবারের মতো জেনেটিক ডায়াবেটিস ঝুঁকি এবং টিভি দেখার অভ্যাস একসাথে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে: 👉 যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জেনেটিক ঝুঁকি বেশি, তারাও যদি প্রতিদিন ১ ঘণ্টার বেশি টিভি দেখেন, তাহলে ASCVD (Atherosclerotic Cardiovascular Disease) হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। 👉 কিন্তু তারা যদি দৈনিক টিভি দেখা ১ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন, তাহলে সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়—even যদি তাদের জেনেটিক প্রোফাইল ঝুঁকিপূর্ণ হয়। 📊 কী বলছে গবেষণা? 🧪 গবেষণায় যুক্তরাজ্যের ৩.৪৬ লাখেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর ১৪ বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 🎯 অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা দিনে দুই ঘণ্টা বা তার বেশি টিভি দেখতেন, তাদের মধ্যে ১২% বেশি হার্ট ও রক্তনালির রোগ ধরা পড়ে। 🔍 বিস্ময়করভাবে দেখা যায়: যারা জেনেটিক ঝুঁকি কম কিন্তু দিনে ২ ঘণ্টা বা তার বেশি টিভি দেখেন, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি এমনকি উচ্চ ঝুঁকির লোকদের চেয়েও বেশি! ❤️ সুস্থ থাকতে করণীয়: ✅ প্রতিদিন টিভি দেখা ১ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন ✅ প্রতি আধাঘণ্টা পরপর উঠে খানিকটা হাঁটুন বা স্ট্রেচিং করুন 🧘‍♀️ ✅ ফ্রি টাইমে বই পড়া, ঘরের কাজ, হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামে সময় দিন ✅ পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন—স্ক্রিনের বাইরে জীবনে মন দিন 😊 📢 গবেষকেরা কী বলছেন? "টিভি দেখা কমিয়ে আনা হতে পারে একটি কার্যকরী লাইফস্টাইল ইন্টারভেনশন, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে," — বলেন অধ্যাপক ইয়ংওন কিম। "এমনকি যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে, তারাও উপকৃত হতে পারেন শুধুমাত্র টিভির সময় কমিয়ে আনলে," — যুক্ত করেন গবেষক মেংইয়াও ওয়াং। 🧠 মনে রাখুন: লাইফস্টাইল বদল মানেই সুস্থ ভবিষ্যৎ। 📺 কম স্ক্রিন টাইম = ❤️ সুস্থ হৃদয় + দীর্ঘ জীবন।