পত্রপত্রিকা ডেস্ক | ২৪ জুন ২০২৫ একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড যদি ২০৩২ সালে চাঁদের ওপর আছড়ে পড়ে, তবে শুধু চাঁদই নয় — পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানো হাজার হাজার স্যাটেলাইটও পড়বে মহাবিপদে! 😱 এমনই চাঞ্চল্যকর পূর্বাভাস দিচ্ছে নতুন এক গবেষণা। চলতি বছরের শুরুতে ৬০ মিটার চওড়া অ্যাস্টারয়েড “2024 YR4”-এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল। এটি এত বড় যে এককভাবে একটি শহর ধ্বংস করতে সক্ষম। যদিও টেলিস্কোপিক পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত করা হয়েছে, অ্যাস্টারয়েডটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত করবে না। 🌕 কিন্তু বিপদ এখন চাঁদে! জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের দিকে ধেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশ। যদি এই অ্যাস্টারয়েড চাঁদের পৃথিবীমুখী পাশে আঘাত হানে — এবং এটি ৫০ শতাংশ সম্ভাব্য — তবে চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কোটি কিলোগ্রাম ধ্বংসাবশেষ ছিটকে পড়বে মহাশূন্যে। 💥 বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী পল উইগার্ট বলেন, এই বিস্ফোরণ হবে এক বিশাল পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো শক্তিশালী। যদি এই ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে আসে, তবে আমাদের বায়ুমণ্ডল মাটি রক্ষা করতে পারলেও, স্যাটেলাইটের বড় ক্ষতি হতে পারে। 🛰️ 🛰️ উইগার্ট আরও জানান, "একটি সেন্টিমিটার আকারের চাঁদের পাথর যদি ঘণ্টায় হাজার হাজার কিলোমিটার বেগে চলে, সেটি গুলির মতোই বিধ্বংসী।" এতে ২০৩২ সালের দিকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে বেড়ানো হাজার হাজার স্যাটেলাইট মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। ✨ তবে ভয়ের মাঝেও রয়েছে এক রোমাঞ্চ! যদি চাঁদের উপর আঘাত ঘটে, তাহলে পৃথিবীর আকাশে দেখা যেতে পারে এক অবিশ্বাস্য জ্যোতির্ময় উল্কাবৃষ্টি, যা চোখ ধাঁধানো হবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। 🌠 তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উইগার্ট জানান, সরাসরি চাঁদের সামনের দিকে আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ২ শতাংশ। অ্যাস্টারয়েডটি আবার দৃশ্যমান হবে ২০২৮ সালে, তখন এ নিয়ে আরও তথ্য মিলবে। 🛰️ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি শেষমেশ প্রমাণিত হয় যে ২০২৪ YR4 চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে, তবে চাঁদ রক্ষায় নতুন মিশন নেওয়া সম্ভব। এটি হতে পারে মানবজাতির পরবর্তী মহাকাশ প্রতিরক্ষা অভিযান। 🔭 উল্লেখ্য, এই অ্যাস্টারয়েডটির আকার NASA’র DART মিশনে ধাক্কা খাওয়া Dimorphos-এর অর্ধেক এবং ওজন প্রায় ১০ শতাংশ। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতের পরীক্ষামূলক প্রতিরক্ষা অভিযানের উত্তম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। 📚 গবেষণাটি arXiv ডাটাবেসে প্রকাশিত হয়েছে এবং Astrophysical Journal Letters-এ জমা দেওয়া হয়েছে।