🧠 মূল প্রতিবেদন: মেনোপজ—শব্দটি শুনলেই অনেক নারীর মনে ভয়, সংকোচ বা অজানা এক দুশ্চিন্তা 😔 জন্ম নেয়। অথচ এটি কোনো রোগ নয়—এটি জীবনের এক স্বাভাবিক পরিবর্তন যা প্রতি নারীর শরীরেই ঘটে। তবে সমস্যা হলো, আমাদের সমাজে এখনও এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় না। ফলে নারীরা পেরিমেনোপজ ও মেনোপজ সম্পর্কে অজানায় থেকে যান, যার ফলে শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। 🌺 পেরিমেনোপজ: যাত্রার শুরু ❝পেরিমেনোপজ❞ সাধারণত ৪০ বছর বয়সের কাছাকাছি শুরু হয় এবং বছর পাঁচেক বা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। এই সময় শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে—ফলে অনিয়মিত মাসিক, মেজাজ পরিবর্তন, ঘাম হওয়া, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। 👩‍⚕️ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দা হুসনা আখতার বলেন, “এই পর্যায়ে শরীর হঠাৎ হঠাৎ হরমোনের ওঠানামা করে। অনেক সময় মনে হয় আপনি নিজেই নিজের কন্ট্রোলে নেই। তবে এটা একদম স্বাভাবিক।” 💥 সাধারণ উপসর্গ ও ভুল ধারণা 🔻 নিয়মিত মাসিকের অনিয়ম 🔻 হঠাৎ গরম লাগা (Hot Flash) 🔻 ঘুমের সমস্যা 😴 🔻 মন খারাপ, বিষণ্ণতা, অকারণে রাগ 😤 🔻 যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া 🔻 মনে রাখা ও ফোকাসে সমস্যা (Brain fog) ❗ অনেকেই ভাবেন, মাসিক বন্ধ মানেই গর্ভধারণ আর সম্ভব নয়। কিন্তু পেরিমেনোপজে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায় না। 🧬 কেন হয় এই পরিবর্তন? ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন কমতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন—মস্তিষ্ক, হাড়, হৃৎপিণ্ড এমনকি পাচনতন্ত্রেও প্রভাব পড়ে। শরীরের হরমোনিক ভারসাম্য নষ্ট হলে এসব উপসর্গ দেখা দেয়। 💡 করণীয়: নিজেকে বোঝা ও যত্ন নেওয়া ✅ সুষম ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার 🍳🥦 ✅ হালকা ব্যায়াম 🚶‍♀️ ✅ পর্যাপ্ত ঘুম 😴 ✅ মানসিক সমর্থন ও আত্মবিশ্বাস ✅ প্রয়োজনে হরমোন থেরাপি (ডাক্তারের পরামর্শে) 👉 ডাক্তাররা এখন অনেক ক্ষেত্রেই non-medicated lifestyle approach দিয়ে পেরিমেনোপজ ও মেনোপজ ম্যানেজ করতে উৎসাহিত করছেন। 🎙️ নারীদের বলার সময় এসেছে... "আমি না বুঝেই সন্তানদের ওপর রেগে যেতাম, অফিসে কাঁদতাম, ঘুম ভেঙে যেত মাঝরাতে — আমি ভাবতাম আমি 'পাগল' হয়ে যাচ্ছি। কেউ তো বলেনি এটা হরমোনাল!" 😢 এমন অভিজ্ঞতা বহু নারীর। মেনোপজকে ভুল করে ভেবে নেওয়া হয় ‘শেষের শুরু’, কিন্তু এটি হতে পারে নতুন জীবনের নতুন অধ্যায়। 📣 ডাক্তার হুসনার বার্তা: “মেনোপজ মানে নারীর জীবনের ইতি নয়। বরং এটি আত্ম-অনুসন্ধান ও শক্তি খোঁজার সময়। এই যাত্রা বুঝতে পারলে ভয় নয়, আসবে আত্মবিশ্বাস।”