গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত: সবুজ আর ঢেউয়ের নীরব প্রেম 💚🌊 যেখানে প্রকৃতি বলে, 'ধীরে চলুন'

📖 মূল প্রতিবেদন: ☁️ সকাল ৭টা, চট্টগ্রামের আকাশ যেন বৈঠকে বসেছে মেঘের সাথে। কিন্তু আমাদের যাত্রা বন্ধ হওয়ার নয়! 🎥 ক্যামেরা রেডি, গন্তব্য— গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। সঙ্গী “ইন্তি ভাইয়া” মোডে হালকা হইচই, আমি রিপোর্টিংয়ে আর ক্যামেরায় “ডাবল ট্যানজিল”। 🚗 শহরের বাইরে যাওয়ার পথে বৃষ্টিভেজা সীতাকুণ্ড যেন প্রকৃতির নিজস্ব কবিতা। পেছনে পড়ে রইল চা-দোকান, একা গরু আর কাদামাখা গ্রাম। অবশেষে পৌঁছালাম মুরাদপুর। সেখান থেকে বলল— "এখন হাঁটতে হবে, নাঙা পায়ে!" 🦶🌧️ 🌿 সমুদ্র, না সবুজ মাঠ? ❝গুলিয়াখালী সৈকত কোনো পোস্টকার্ডের মতো ফটোফ্রেম নয়, এটা এক গভীর অনুভূতির জায়গা।❞ 🌾 এখানে ঢেউ নেই, আছে সবুজ গালিচা, কেওড়া গাছের শিকড় যেন ভাস্কর্যের মতো উঠে এসেছে কাদার বুকে। জোয়ারের পানিতে চাঁদের আলো খেলে যায় — রুপালি শিরার মতো। 📷 কেউ ছবি তুলছে, কেউ হাঁটছে, কেউ চুপচাপ দাঁড়িয়ে কাদামাটিতে ডুবে আছে। এই জায়গায় সময় যেন অন্য গতিতে চলে। ঘড়ির কাঁটা হারিয়ে ফেলে নিজের ভাষা। 🎧 নেই কোলাহল, নেই বানানা বোট ❌ না আছে ঝাল শসা, ❌ না আছে বিচ মোটরসাইকেল — আছে শুধু নিঃশব্দে চলা বাতাস আর কাদার ওপর পায়ের শব্দ। একমাত্র দোকানটি এক চায়ের ঝুপড়ি। 🫖 এখানে এলে আপনি বুঝবেন— প্রকৃতি মানুষকে কিভাবে শিখায় "মাটি ছুঁয়ে থাকার সৌন্দর্য"। যদি সঠিক সময়ে যান, পুরো সৈকত হয়তো থাকবে শুধু আপনার জন্যই। 🛶 পরামর্শ ও রুট গাইড: 📍চট্টগ্রাম থেকে সোজা চলে যান সীতাকুণ্ড বাজার। সেখান থেকে সিএনজিতে মুরাদপুর। এরপর হেঁটে কাদার রাজ্যে প্রবেশ। সুতরাং পোশাকে প্রস্তুতি নিন— প্রকৃতিকে আলিঙ্গনের। ⚠️ সতর্কতা: 🏊♂️ সমুদ্রে নামা ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ নেই লাইফগার্ড। 🗑️ পরিবেশ রক্ষায় যা আনবেন, তা নিয়ে ফেরত যাবেন। 🧺 এটা পিকনিক স্পট নয় — এটা শান্তি খোঁজার জায়গা। 💬 ফেরার পথে... কাদামাখা পায়ে গাড়িতে ফেরার সময় মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি যেনো বলছে— “আবার এসো, তবে এবার ক্যামেরা ছাড়াই।” এই ছোট্ট অথচ চিরসবুজ অনুভূতির নামই গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। 🌾🌊🕊️
প্রকাশিত: ২১ জুন, ২০২৫ এ ৮:৩৪ PM