দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ পোসানি কৃষ্ণা মুরালিকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। 🎥✨ গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় নিজের হায়দরাবাদের বাসভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। কৃষ্ণা মুরালির বিরুদ্ধে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ এনে এ গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়। খবরটি প্রকাশের পর থেকেই দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। 🌐 কী অভিযোগ কৃষ্ণা মুরালির বিরুদ্ধে? ওবুলাবারিপল্লী থানায় কৃষ্ণা মুরালির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৯৬, ৩৫৩(২) ও জাতি/উপজাতি সুরক্ষা আইনের ৩(৫) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সম্প্রতি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন, যা ওই অঞ্চলের সামাজিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে। এতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। 👨‍⚖️ আদালতে হাজির ও জামিন অযোগ্য মামলা গ্রেফতারের পর কৃষ্ণা মুরালিকে রাজমপেটের প্রথম শ্রেণির অতিরিক্ত বিচারকের আদালতে হাজির করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আমলযোগ্য এবং জামিন অযোগ্য বলে আদালত জানিয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়ে অভিনেতার স্ত্রীকে সরকারি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে— কৃষ্ণা মুরালির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং গুরুতর অপরাধের শামিল। 🏥 গ্রেফতারির আগে অসুস্থতার দাবি ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেফতারের আগে কৃষ্ণা মুরালি নিজেকে অসুস্থ দাবি করে পুলিশের কাছে স্বাস্থ্যগত ছাড় চান। তিনি জানান, তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা তেমন ভালো নয়। তবে পুলিশ সেই আবেদন আমলে না নিয়ে, তাকে সরাসরি হেফাজতে নেয় এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। 🎬 অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ, দুই ভূমিকাতেই সমান জনপ্রিয় কৃষ্ণা মুরালি শুধু অভিনেতাই নন, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন সফল চিত্রনাট্যকারও। 🎞️ ‘ক্র্যাক’, ‘টেম্পার’, ‘জেমিনি’সহ অসংখ্য হিট ছবিতে তার অভিনয় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে তার কমেডি অভিনয় দক্ষিণ ভারতের মানুষের হৃদয়ে আলাদা স্থান দখল করে আছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রায় দেড় শতাধিক সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং কিছু সিনেমা পরিচালনাও করেছেন। ⚠️ জাতি বিদ্বেষের অভিযোগে বিতর্কের মুখে কৃষ্ণা মুরালির বিরুদ্ধে আনা জাতি বিদ্বেষের অভিযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চাওয়া ষড়যন্ত্র আবার কেউ বলছেন, এমন বক্তব্য তার মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে একদমই কাম্য নয়।