কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বেলা ৩টার দিকে আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর উপজেলার বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল এবং বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসির দুজনেই কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন। নাসির মুকুলকে কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছিলেন, যা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে নাসির মুকুলকে হুমকি দেওয়ার পর, রবিবার জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুরও এতে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা গেলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপি নেতা নাসির তাদের নেতা মুকুলকে হুমকি দিয়ে নাম প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। প্রতিবাদ সভায় হামলা চালানোর পর তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেছেন, এ ঘটনা স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে হওয়ায় তিনি তাতে মন্তব্য করতে চান না। তবে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।