কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি: ঐতিহ্যের সাক্ষী 🏰🎨

কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্মৃতির এক অমূল্য ধারক। 📜📚 পদ্মার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রামের এই কুঠিবাড়ি বিশ্বকবির জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যেখানে তিনি তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন। 🏞️💭 শিলাইদহ কুঠিবাড়ির ঐতিহ্য ✍️ ১৮০৭ সালে কবির দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে জমিদারি পান, এবং ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও জমিদারি পরিচালনা শুরু করেন। তাঁর এই সময়েই কুঠিবাড়ির ভিতরে অনেক বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম রচিত হয়, যার মধ্যে গীতাঞ্জলী, সোনার তরী এবং খেয়া অন্যতম। ✨📖 কুঠিবাড়ির আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য 🏡 এই কুঠিবাড়িতে রয়েছে ১৮টি কক্ষ, ১৮টি দরজা এবং ৪৮টি জানালা। প্রতি দরজা আর জানালায় তার শৈল্পিক ছাপ, যা আজও দর্শকদের আকর্ষণ করে। বাড়ির ভিতরে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত পালকি, নৌকা, টেবিল, খাট সহ নানা ঐতিহ্যবাহী জিনিস রয়েছে। 🌿🛶 ভ্রমণকারী পছন্দের স্থান 🌍 কুঠিবাড়ির পাশেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথের নিজ হাতে লাগানো বকুল গাছ ও পদ্মা বোটের আদলে তৈরি নৌকা। এখানে আপনি পাবেন গীতাঞ্জলী, সোনার তরী, এবং খেয়া নামে তিনটি রেস্টহাউজ ও একটি গ্রন্থাগার।📚💬 শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ভ্রমণের সেরা সময় ⏰ কুঠিবাড়ি যাওয়া যেতে পারে ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে কিংবা অটোরিকশা রিজার্ভ করে। সারাদিন বা অর্ধদিবস ছুটির দিন, রবিবার ও সোমবার কুঠিবাড়ি বন্ধ থাকে। কুষ্টিয়া শহরের প্রান্তে অবস্থান, যেখানে থাকে উন্নতমানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। 🍽️🌟
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ এ ৮:৪৬ PM