কুমারখালীর কুন্ডুপাড়ায় লালনগীতির ঐতিহ্য ও চন্দনা মজুমদারের স্মৃতি 🌊🎶

কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত কুন্ডুপাড়া, এক ঐতিহাসিক গ্রাম যেখানে উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর পুরানো স্হাপনা এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কুন্ডুপাড়া, যা কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম পরিচিত স্থান, এখানে বসবাস করছে পুরানো পাড়া ও তাদের উত্তরসূরীরা। এই জায়গার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা হলো “কুমারখালী সংগীত বিদ্যালয়”, যা আগে একটি বাসগৃহ ছিল। এই বাসগৃহ ছিল বিখ্যাত লালনগীতি শিল্পী চন্দনা মজুমদারের পৈতৃক ভিটা। চন্দনা মজুমদার, যিনি কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড়ে জন্মগ্রহণ করেন, মূলত লালনগীতির শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাবা, নির্মলচন্দ্র মজুমদার, লালনগীতির শিল্পী ছিলেন, কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন চন্দনা নজরুলগীতি গাইবেন। তবে পারিবারিক পরিবেশ এবং ফরিদা পারভীনের গান তাঁকে লালনের সুরে নিয়ে আসে। লালনের গান ছাড়াও তিনি রাধারমণ, হাসনরাজা, শাহ্ আবদুল করিমের গানের সাথে পরিচিত। এছাড়া, ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের একটি গান তাকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চন্দনার স্বামী কিরণ চন্দ্র রায়ও বাউল গানের শিল্পী, ফলে তাদের মধ্যে গান নিয়ে বোঝাপড়াও বেশ গভীর। 🎤🌿 এই ঐতিহ্যবাহী কুমারখালী সংগীত বিদ্যালয় এবং চন্দনা মজুমদারের গানের ভুবন কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী, ২০২৫ এ ৯:২০ PM