ফরিদপুরে মৃণাল সেনের জন্মভিটা: স্মৃতির পথে ফিরে দেখা! 🌟 এক কিংবদন্তির শৈশবের গল্প

ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটি পুরনো, আধভাঙা বাড়ি। কেউ কি কল্পনা করতে পারে, এ বাড়িটিই ছিল কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জন্মভিটা? 🎥 শৈশব-কৈশোরের প্রথম সতেরো বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। 🎨 বাড়িটির বর্ণনা বাড়িটির নাম ছিল "তীর্থ নিবাস", নির্মাণ করেছিলেন মৃণালের বাবা। সি-আকৃতির স্থাপত্য, পাশে একটি বিশাল পুকুর—সব মিলিয়ে একসময় এটি ছিল নান্দনিকতার প্রতীক। কিন্তু এখন জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালের কালো দাগ আর ভাঙা জানালা জানান দেয় এর বয়স। তবুও, এর কারুকাজ এখনো যেন বলে যায় অতীতের গল্প। মৃণালের শৈশব ও কৈশোর মৃণাল সেনের জীবনগল্পে ফরিদপুর শহর অবিচ্ছেদ্য। এখানেই তিনি প্রথম সিনেমা দেখেন এবং চলচ্চিত্রের প্রতি তার ভালোবাসার বীজ বপিত হয়। 🎬 রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র মৃণাল, পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের সান্নিধ্য, আর বাড়িতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো অতিথি—সব মিলিয়ে ফরিদপুর ছিল তার স্মৃতির ভুবন। স্মৃতি ফেরার দিন ১৯৯০ সালে, দেশ ছাড়ার চার দশক পর মৃণাল একবারের জন্য ফেরেন ফরিদপুরে। হাজারো অনুরাগীর ভালোবাসায় ঘেরা মৃণাল নিজের মতো করে স্মৃতির পথে হেঁটে দেখেছিলেন তার শৈশবের জায়গাগুলো। 🛶 তিনি লিখেছিলেন, “৪৭ বছর পরেও আমি সব চিনতে পেরেছি। এ যেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার মতো।” 🎥 তবু প্রশ্ন রয়ে যায়: এই জন্মভিটা, যা এক কিংবদন্তির জীবনের সূচনা করেছে, তা আর কতদিন টিকে থাকবে? মৃণাল সেনের স্মৃতি ধরে রাখার দায় কার?
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী, ২০২৫ এ ৯:০৫ PM