বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আলোচনায় কেন্দ্রে রয়েছে মেজর ডালিম এবং তার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার। বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম) ৫০ বছর আড়ালে থাকার পর রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় ইউটিউব লাইভে এসে দেশের রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক নানা বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। বিপ্লবের প্রসঙ্গ: লাইভে ডালিম বলেন, “বিপ্লব একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে হবে এবং সামনের পথ পাড়ি দিতে হবে।” এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তার মতে, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বদলে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্য কোনো দেশীয় কবির গান জাতীয় সংগীত হওয়া উচিত ছিল।" 🎶 মিনহাজুলের জবাব: সাক্ষাৎকারের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাল বিতর্ক শুরু হয়। নেটিজেনদের একাংশ মিনহাজুল আরেফিন সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তিকে মেজর ডালিম বলে চিহ্নিত করতে থাকেন। এর জবাবে মিনহাজুল ফেসবুকে লেখেন, "সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, রাতারাতি মেজর ডালিম হয়ে গেছি!" সাথে নিজের হাতের পাঁচ আঙুলের ছবি পোস্ট করেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি মেজর ডালিম নন, কারণ মুক্তিযুদ্ধে ডালিম তার এক আঙুল হারিয়েছিলেন। সরকারি প্রতিক্রিয়া: সাংবাদিকরা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তরঙ্গ সৃষ্টি: মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকারে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং বিপ্লব নিয়ে তার বক্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার এ মন্তব্য বাংলাদেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উপসংহার: ডালিমের বক্তব্য এবং মিনহাজুলের প্রতিক্রিয়া দেশের জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। কেউ এই সাক্ষাৎকারকে সাহসিকতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ একে নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন।