যশোরে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিল যেন পরিণত হয়েছিল মোবাইল ও স্বর্ণালংকার হারানোর মহোৎসবে! 😮 শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে পুলেরহাটে আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ এলাকায় এই বিশাল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ অংশ নেন। মাহফিলে পদদলিত ও ধাক্কাধাক্কিতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 🚑 শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভুক্তভোগীরা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ভিড় জমাতে শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত ৩০০টিরও বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিডির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা: 👉 ইব্রাহিম হোসেন: "মায়ের গলার দেড় ভরির হার হারিয়ে থানায় এসেছি। আমরা ওয়াজ শুনছিলাম, কিন্তু কখন হারটা খুলে গেল বুঝতে পারিনি।" 👉 হায়রত হোসেন: "বউয়ের চেইন চুরি হয়ে গেছে। এত বড় মাহফিলে চুরি রোধে কর্তৃপক্ষ আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল।" পুলিশ কী বলছে? যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, "মাহফিলের ভিড়ের সুযোগে অসংখ্য মানুষের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।" মহফিলের বিশেষ দিক: তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে আলোচনা করেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তারা। শুক্রবার রাতে বক্তব্য দেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও শায়খ আহমাদুল্লাহ।