একসময় মেঘনার বুকে ছিল লক্ষ্মীপুর। পানি সরে গিয়ে চর তৈরি হলে মিলল অদ্ভুত দুটি লোহার বয়া। এদের ঘিরেই গড়ে উঠল বয়ারচর গ্রাম। তবে, এই লোহার বস্তু দুটি কীভাবে এখানে এলো, তা নিয়ে আজও চলছে নানা গুঞ্জন। 🌊✨ রহস্যময় বয়া: ইতিহাস না কল্পকাহিনী? 🤔 সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জের ফসলি মাঠে মাটির নিচে রয়েছে দুটি লোহার মোটকা বস্তু। ওপরে হাতলের মতো রিং, যা দেখতে গ্যাস সিলিন্ডারের মতো। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ৭০ বছর আগে এ বয়াগুলো পানির নিচে পাওয়া যায়। কেউ মনে করেন, এগুলো নৌযানের দিক-নির্দেশকের জন্য বসানো হয়েছিল। আবার কেউ বলেন, প্রচণ্ড ঝড় এসে এগুলো এখানে ফেলে দেয়। 🛶💨 বয়াগুলো নিয়ে লোককথা ও কুসংস্কার 🕊️ স্থানীয় ষাটোর্ধ্বরা বলেন, পানি সরে চরের উদ্ভবের পর মানুষ এগুলো দেখতে পায়। বয়াগুলো নিয়ে অলৌকিক কাহিনী ছড়ায়। মানত, মিলাদ পড়া এবং সিন্নি দেওয়া হতো। অনেক দূর থেকে মানুষ এসে এগুলোর পাশে সালাম করত এবং মাটি নিয়ে তাবিজ বানাতো। তবে কালের বিবর্তনে এসব প্রায় হারিয়ে গেছে। 🕍🙏 বয়ার সংরক্ষণে প্রশাসনিক উদ্যোগ চাই 📜 সচেতন মহল মনে করে, বয়াগুলো জেলা ইতিহাসের অংশ। সেগুলো সংরক্ষণ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জেলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। 🔑 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: বয়াগুলো ব্রিটিশ আমলে স্থাপন করা হয়েছিল বলে ধারণা। নদী সরে যাওয়ায় এগুলো এখন মাটির নিচে। প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে এগুলোর বয়স নির্ধারণ প্রয়োজন।