আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এসব অপরাধে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো রাজনৈতিকভাবে জড়িত ছিল। এর সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের অনেকেই জড়িত ছিলেন। তবে, এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে সারা দেশের এসব অপরাধের বিচার করা সম্ভব নয়। ⚖️🇧🇩 📰 বিচারের অগ্রগতি: তিনি আরও বলেন, সাধারণত মানবতাবিরোধী অপরাধে টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়, এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল। তাঁর এবং তাঁর সহযোগীদের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী এক বছরের মধ্যে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। ⏳💼 🎙️ সংলাপে মন্তব্য: রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক সংলাপে তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর এবং ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ডদের বিচারে একযোগে কাজ করছেন। তবে, এটি একটি সীমিত কাঠামো, তাই দেশের প্রতিটি অপরাধের বিচার সম্ভব নয়। 🔍👨‍⚖️ 💬 উপদেষ্টার বক্তব্য: তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার আলোচনায় তিনি গুম-খুন এবং গণহত্যা সহকারীদের বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং দেশের অপরাধ নিয়ে সাধারণ আদালতে চলমান মামলাগুলির বিচারও চলবে। ⚖️