কক্সবাজারের পেকুয়া প্রোগ্রামে লাখো জনতার ভিড় ঠেলে মঞ্চে উঠতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। অনুষ্ঠানের শেষে পরিস্থিতি একই রকম ছিল। এই অবস্থায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মাওলানা আজহারী জানিয়েছেন, আগামীতে বড় ধরনের পাবলিক ইভেন্টে তার অংশগ্রহণ সম্ভব নাও হতে পারে। শনিবার রাতে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেছেন, "আমি কুরআনের একজন নগণ্য ছাত্র। আপনাদের দ্বীনি ভাই। দয়া করে আমার প্রতি একটু ইহসান করুন।" তিনি জানান, ২০১৯-২০২০ সালেও অনেকবার ক্রাউড সামলাতে গিয়ে ইনজুরির শিকার হয়েছেন, এবং বর্তমানে তিনি এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন। আজহারী আরও বলেন, "স্টেজে যাওয়ার পথে কিংবা ফেরার পথে মুসাফাহা বা ছবি তোলার জন্য ভিড় করবেন না। আলোচনা চলাকালীন স্টেজের দুই পাশে ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।" তিনি যোগ করেন, "প্রতিটি প্রোগ্রামের বাইরে বড় এলইডি স্ক্রিন থাকবে, যাতে আপনি সরাসরি না দেখলেও ওই স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।" আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অযথা ঝামেলায় না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "সেইফ এন্ট্রি এবং এক্সিট নিশ্চিত করতে আয়োজকদের নির্দেশনা মেনে চলুন।" মাওলানা আজহারী তার পোস্টে আরো লেখেন, "অতি আবেগি হয়ে কুরআনের মাহফিলের পরিবেশ নষ্ট করা কাম্য নয়। কুরআন-প্রেমীরা স্মার্টলি সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারে। দয়া করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন।" তিনি তার ভক্তদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এতো বড় আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন। আজহারী তার ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বলেন, "আমি আল্লাহর জন্য আপনাদের ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি, আপনারাও আমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন।" তবে তিনি জানান, সবাই যদি কাছে এসে মুসাফাহা করতে চান, তাহলে তার জন্য এটি কষ্টকর হয়ে যাবে। শেষে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, "আগামী প্রোগ্রামগুলোতে আমরা সবাই আরও সচেতন ও সুশৃঙ্খল থাকব।"