ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে আন্দোলন: ভোগান্তির চক্রে শিক্ষার্থীরা
_173295040819378879.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবিদাওয়া আদায়ে প্রধান ফটক আটকে আন্দোলন একটি পরিচিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোটখাটো ঘটনা, যেমন বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি, পরীক্ষা গ্রহণে বিলম্ব, বা বিভাগীয় শিক্ষকের অপসারণ—যে কোনো ইস্যুতে ফটকে তালা ঝুলিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে রাখা যেন আন্দোলনের প্রধান পন্থা হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণনির্ভর পরিবেশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এটি চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী যানবাহনের মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে দূরবর্তী গন্তব্যে ফিরতে বাধ্য হন। কিন্তু এসব আন্দোলন তাদের যাত্রাপথকে আটকে দেয়, কখনো কখনো তা ছয় ঘণ্টারও বেশি স্থায়ী হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই আন্দোলনের হার বেড়ে গেছে। চলতি বছরই কয়েক দফায় বিভাগের পরীক্ষার বিলম্ব, র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কার, ও বাস বাড়ানোর দাবিতে ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে শতাধিকবার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসন বারবার সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষক নেতারাও এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, ফটক আটকে কিছু দাবি আদায় হয় বলেই এটি আন্দোলনের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাবি আদায়ের জন্য আলোচনার বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থীদের মানসিকতা পরিবর্তন এবং শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঐক্যমত তৈরি না হলে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করা কঠিন হবে।
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১:০৬ PM