হাইকোর্ট আজ সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে তার স্ত্রীর হত্যার অভিযোগে জামিন দিয়েছে। ২০১৬ সালে মিতু আক্তারের হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই জামিন প্রদান করা হয়। একই সাথে আদালত রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছে, কেন বাবুল আক্তারকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না। হাইকোর্ট বেঞ্চ, বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও মো. আলী রেজা বাবুলের জামিন মঞ্জুর করেন এবং স্থায়ী জামিন বিষয়ে একটি রুল জারি করেন। বাবুলের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজদ দৈনিক স্টারকে জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর বাবুলের কারামুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। হাইকোর্ট এই জামিন দিয়েছেন কারণ মামলার কিছু আসামির দেয়া জবানবন্দিতে অসঙ্গতি ছিল। এদিকে, ঘটনার সময় বাবুল আক্তার নিজেই মিতু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) মামলাটি তদন্তের পর বাবুল আক্তারকেই আসামি করে গ্রেফতার করে। ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে মিতু তার ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় তাকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করা হয়। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার তিন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পঞ্চলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে পিবিআই মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালের ১২ মে, মিতুর বাবা বাবুল আক্তারকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযোগ করে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, বাবুল আক্তার তার স্ত্রীকে পরকীয়ার কারণে হত্যা করেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবুল প্রধান আসামি হন।