বাঙালির প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শাকের বিশেষ জায়গা রয়েছে। নানা ধরনের শাকের মধ্যে পাট শাক বেশ জনপ্রিয়। গ্রামাঞ্চলে এটি ‘নাইল্যা শাক’ নামেও পরিচিত। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই শাক কেবল স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও সমাদৃত। মিশরের বিখ্যাত রানী ক্লিওপেট্রা নাকি তার ত্বকের যত্নে নিয়মিত পাট শাক খেতেন! চলুন, জেনে নিই এই শাকের গুণাবলি। পেটের স্বাস্থ্য রক্ষায় পাট শাক: পাট শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং মল সুগঠিত হয়, যা সহজে মলত্যাগ করতে সহায়তা করে। প্রদাহ কমাতে ওমেগা-৩: এই শাকে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট, যা শরীরের প্রদাহ হ্রাস করতে কার্যকর। এছাড়াও এতে থাকা ‘লাইকোপিন’ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পাট শাকে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, মানসিক চাপ এবং দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও দেহকে রক্ষা করে। চোখের জন্য উপকারী: পাট শাকের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন ত্বকের কোষকেও সতেজ ও স্বাস্থ্যকর রাখে। রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের প্রতিকার: পাট শাকে থাকা আয়রন পায়ের ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’ নিরাময়ে কার্যকর। এক কাপ পাট শাকে প্রায় ২.৭৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা দৈনিক আয়রনের চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে। তবে, পাট শাক খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ অ্যালার্জির শিকার হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শাক-পাতার অতিরিক্ত বা ভুল উপায়ে খাওয়ার কারণে শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।